এই মাত্র দেয়া

গরীব হলেও তারা মানুষ

উদাসী দুপুরে একটি মাঝারি উচ্চতার দেয়ালের উপর বসে কি যেন ভাবছে ছেলেটি ............
এটুকু বয়সে কি e বা ভাববার আছে তার?
অসহায় চোখ দুটো জলে টলমল করছে,
কি যেন অজানা একটা কষ্ট তাকে তাড়া করছে ............

কৌতুহলী হয়ে এগিয়ে গেলাম ছেলেটির কাছে,
মৃদু স্পর্শে কেঁপে উঠেছে উদাসী ছেলেটি,
কি যেন বলতে চাইছে আমাকে ............

---------এভাবে একা একা বসে আছ কেন, আরেকটু হলে তো পরে যেতে?
---------না ভাই পরুম না, আমি পেরায় সময় এইহানে বইসা থাহি, এই হানে বইসা থাকলে মনের কষ্ট গুলান পলাইয়া যায়।
---------কি নাম তোমার? এই বয়সে কিসের এত দুঃখ তোমার?
--------আক্কাছ, মায়ের আদরের আক্কাছ।
--------তোমার বাসা কোথায়?
--------ঐ যে বাড়ি ডা দেখতাছেন ঐ বাড়িতে আমি ছুডো কাল হইতেই কাম করি, সবাই আমারে পিচ্চি কইয়া ডাহে।
--------আচ্ছা আক্কাছ তোমার বাবা-মা তোমাকে দেখতে আসে না?
--------লেংডা কালেই মা মইরা গেছে, বাবায় মাঝে মাঝে আইতো কিন্তু এহন আর আহে না,
শুনছি হে নাকি আরেকটা বিয়া করছে।
--------তোমার মায়ের জন্য খুব মন খারাপ হচ্ছে তাইনা আক্কাছ?
--------হ ভাই, মা যদি আইজ বাইচ্চা থাকতো তাইলে আমারে আর এত কষ্ট পাইতে হইতো না, আমাগো সাহেবের পোলার ছড়ার বইডা দরছি দেইখ্যা কি মাইরটা না মারলো আমারে।
কেউ আমারে খেলায় নেয় না, কেউ আমারে ভালোবাসে না, আমি নাকি ছুডু লোকের বাচ্চা।

কথা গুলো বলতে বলতে চোখ দুটো ভারী হয়ে আসছে আক্কাছের, কথা গুলো কেমন যেন অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

চোখের পানি আর বাদ মানলো না আমার,
কত কষ্ট নিরবে সয়ে বেড়ায় মানুষ, কেন এমন হয়?

>আচ্ছা সুখ গুলোকে কি ভাগ করা যায়?
যদি যেত তাহলে সমস্ত সুখ ঐ সকল মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে নিঃস হয়ে যেতাম।
কিছু কিছু নিঃস হওয়ার মাঝেও রয়েছে পরম সুখ,পরম শান্তি,,,,