ভরাট সুরেলা নারী কন্ঠে একটা ফোন কল ,
‘ হ্যালো- এটা কি রিফাত ভাইয়ার নাম্বার, অথবা ‘ ভাইয়া ভুল করে আপনার নাম্বারে ৫০ টাকা চলে গেছে, যদি ফিরিয়ে দিতেন ‘ এমন নানা বাহানায় অপরিচিত কোন ফোন থেকে যেকোন দিন কল আসতেপারে আপনারো !
মোটামুটি আপনি যদি দুর্বল গোছের পুরুষ হয়ে থাকেন তাহলে ফিরতি কল তো অবশ্যই করবেন……
মনে রাখবেন শতকরা এমন ৯৫ ভাগ কলেই চূড়ান্ত কোন ফাঁদে পড়ে ফেঁসে যাবার পথেই আপনি ! অতএব সাধু সাবধান !!যুবতীর নাম তানিয়া । বয়স ত্রিশের কিছু বেশি, তবে সাজগোজ আর চলাফেরা দেখে বোঝার উপায় নেই বিশ অথবা বাইশের উপরে তিনি ।
আপাতদৃষ্টিতে অনেক পুরুষের নজর কাড়ার মত সক্ষমতা আছে তার। কন্ঠেও নাকি ‘যাদু’ আছে। লাস্যময়ী কথার সাথে বাহ্যিক সৌন্দর্যকেই ফাঁদ বানিয়ে শিকার করাই এই যুবতীর অন্যতম কাজ ।এই ফাঁদ দিয়ে সে যদি কাউকে ঘায়েল করতে চায় তাহলে নাকি মোটামুটি দুর্বল গোছের যেকোন পুরুসেরই নিজেকেআটকানো বেশ দাঁয় হয়ে পড়ে’। প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য তানিয়া সম্পর্কে সময়ের কণ্ঠস্বরকে ঠিক এমনটাই জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তানিয়ার ফাঁদে পড়া ভুক্তভোগী এক যুবক ।মোটামুটি বেশ কিছুদিন ধরেই সংঘবদ্ধ একটি দলকে সাথে নিয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদ পেতে শিকার করেছেন বেশ কিছু। পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন আগে থেকেই শুধুমাত্র প্রমাণের অপেক্ষা । কারন ইতোপূর্বে এই সুন্দরী যাদের শিকার করেছিলেন তাদের প্রায় সবাই সামাজিক লজ্জার ভয়ে চুপটি মেরে গিয়েছিলেন ।তবে শেষ দফায় এবারই ঘটলো বিপত্তি, হারুন নামের এক যুবককে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়ের সময় গভীর রাতে হাতে নাতেই আটক হলেন সুন্দরী প্রতারিকা তানিয়া ও তার এক সহযোগী ।মামলা সুত্রে জানা গেছে, তানিয়া নামে এক মহিলা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে প্রেমের ছলনা করে বিভিন্ন যুবকদের দৌলতপুরের একটি বাড়িতে ডেকে এনে আটকে রেখে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে আসছিলো ।খুলনা নগরীর দৌলতপুরে প্রেমের ফাঁদ ফেলে হারুন নামের এক যুবককে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই প্রতারককে আটক করে পুলিশ। এসময় জিম্মি হওয়া হারুনকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। হারুন মুন্সীগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। আটককৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।গ্রেফতারের পরই প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে তানিয়া জানিয়েছেন , কেবলমাত্র কিছুটা’ লোভী পুরুষই টার্গেট ছিলো তাদের । আগেভাগেই বিভিন্ন সুত্রে খবর নিয়ে তারা নিশ্চিত হতেন বিভিন্ন পুরুষের দুর্বলতা সম্পর্কে । এরপর বিভিন্ন কায়দায় টার্গেট করা ঐ মানুষটিকে ফোন করা হত। এভাবেই সখ্যতা গড়ে একসময় পরিণয়ের হাতছানি, এরপর আগে থেকেই প্লান মাফিক ফাঁদে ফেলে সম্মানের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় । এভাবেইচলতো একের পর এক ঘটনা ।দৌলতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সেলিম মোল্লা সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, তানিয়া নামে এক মহিলা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে প্রেমের ছলনা করে বিভিন্ন যুবকদের দৌলতপুরেরএকটি বাড়িতে ডেকে এনে আটকে রেখে মোটা অংকের অর্থ আদায় করেআসছে।সর্বশেষ বুধবার হারুণ নামে এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে খুলনায় এনে আটকে রেখে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন। এ ঘটনাটিপুলিশ জানতে পেরে বুধবার রাতে দৌলতপুর এলাকার ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হারুনকে উদ্ধার এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কথিত প্রেমিকা তানিয়া ও প্রতারক চক্রের সদস্য ইমনকে আটক করে।এ ঘটনায় হারুনের ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায়একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার হওয়া ইমন ও তানিয়া আগেওকয়েকজনকে একইভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করেছে বলে পুলিশ জানায়।