এই মাত্র দেয়া

একজন বাবার আশা,,,,

-বাবা তপু,
এই টাকাগুলা রাখো
একটু কষ্ট
করে রুমানকে পৌঁছে দিয়ো।
ওকে তো খুঁজে পেলামনা।মোবাইলও
অফ
ও বলছিল ওর বই কেনার জন্য কিছু
টাকা লাগবে।
-চাচা,আপনি টেনশান করবেন না।
রুমানকে খুঁজে আমি টাকাটা পৌঁছে দিচ্
তপু টাকাটা নিয়ে ভার্সিটির
ক্যাম্পাসে রুমানকে খোঁজে।
দেখে গাছের আড়ালে রুমান প্রেম
করছে তার নতুন প্রেমিকার সাথে।
রুমানকে ডাক
দিয়ে এদিকে নিয়ে আসে তপু।

-তোকে এই
টাকাগুলা চাচা দিয়ে গেছেন।
-যাক।টেনশান মুক্ত হলাম।
-তোর নাকি বই কিনার কথা?একমাস
আগে না কিনলি?
-হ্যাঁ।এখন টাকা চেয়েছি কারণ
গার্লফ্রেন্ডের জন্মদিন তিনদিন পর।
ওকে দামী গিফট করতে হবে।
তপু স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।রুমানের
বাবা সামান্য ব্যবসায়ী।সংসারই
চালাতে পারেন না ঠিকমতো।
না জানি কত কষ্ট করেই রুমানকে এই
টাকাটা পাঠিয়েছেন।হয়তো এর জন্য
ওনাকে না খেয়ে থাকতে হয়েছে,ধারদ
আর রুমান কিনা?

!!রুমানের বাবার
কষ্টভরা আর চোখের
জলে ভেজা মুখটা তপুর
স্মৃতিতে ভেসে এল।নিজেকে আর
সামলে রাখতে পারলো না।প্রচন্ড
ঘুষি হাঁকালো রুমানের নাক লক্ষ্য করে।
রক্ত বেরিয়ে এল।তপু রুমানকে থুথু
ছিটিয়ে পেছন
ফিরে চলে আসতে লাগল।
এতোদিনে হয়তো একটা ভাল কাজ
করতে পেরেছি-তপু ভাবল মনে মনে,,,,,,

কাহিনী কাল্পনিক হলেও বাস্তবে ঘটছে প্রতি নিয়ত,,,,