ক্লাসমেট তাই মুখ ফোটে বলতে পারছে না অয়ন শিলাকে,,,,
অন্য দিকে শিলারও এক অবস্থা,,,,
অয়ন শিলা একই কলেজে পড়ে তাও আবার এক সেমিষ্টারে,,,
দুই জন খুব ভালো বন্ধু কখন যে তাদের বন্ধুত্ব আর বন্ধুত্বের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেনি দুজন দুজনকে মনে মনে ভালোবাসে কেউ মুখ ফোটে বলতে পারি নি যদি তাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায় সেই ভয়ে,,,,,,
এভাবে বেশ কিছু দিন যাবার পর হঠাৎ করে শিলার ফ্যামিলি তার বিয়ে ঠিক করে ফেলে,,,,,
হঠাৎ করেই শিলা অয়নকে ফোন দিয়ে বলতেছে অয়ন আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে,,,,,
(অয়নের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পরল)
কি বলিস হঠাৎ তর বিয়ে,,,,??
হা বাবা ঠিক করেছে তার বন্ধুর ছেলের সাথে,,,,,
ভালো বিয়ে করে ফেল,,,,,
এত সহজে বলতে পারলি,,,,??
হা কেনো,,,??
না এমনি,,,,
(শিলা ভেবেছিলো অয়ন তাকে ভালোবাসে আর সেটা সে এখন বলবে কিন্তু নআআ অয়নের আর সাহস হলো না),,,,
কিছুক্ষণ চুপ করে ছিলো দুজন তারপর শিলা জিদ করে ফোন কেটে দিলো, ,,,,
অয়ন এবার ভাবছে নাহ এবার শিলাকে ভালোবাসি কথাটি বলতে হবে তাই আবার ফোন দিলো অয়ন না শিলার মোবাইল বন্ধ
অয়ন এবার শিলার মোবাইলে একটা মেসেজ দিলো
I love You লিখে
রাতে শিলা তার মোবাইল চালু করতেই অয়নের মেসেজ এলো
শিলা অয়নকে কল দিতেই দেখে অয়নের মোবাইলের সুইচ অফ,,,,
শিলা এবার একটা রিক্সা নিয়ে রওনা দিলো অয়নের বাড়ি
অয়ন বাসায় একা থাকতো,,,,
শিলার মনে মনে ভাবনা অয়নকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাবে, ,
অন্যদিকে অয়ন বাসা ছেড়ে চলে যাওয়াত জন্য ব্যগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছে অনেক দূরে যেখানে শিলা থাকবে না,,,,,
অয়ন বাইরে এসে দেখলো
শিলা আসছে রিক্সা করে। শিলাকে
দেখে অয়নের চাপা কষ্টগুলো যেন
হঠাৎ উবে গেল
তার চোখে হাজার
স্বপ্ন ভিড় করতে শুরু করলো
তার অনুমতি
ছাড়াই
কিন্তু স্বপ্ন দেখা বোধহয়
অয়নদের ভাগ্যে শয়ে না
কারন সে
দেখতে পাচ্ছে শিলা রাস্তায় শুয়ে
আছে ঘাতক ট্রাক শিলার আসা রিক্সা
কে ছুড়ে পেলেছে কিছুটা দূরে
অয়ন
দৌড়ে গিয়ে শিলার রক্তাক্ত
মাথাটা কোলে নিয়ে বসে অাছে
কিছু বলতে চাইছে শিলা 'হয়তো
ভালোবাসি'
কিন্তু তা আর এই জনমে বলা হয়নি শিলার,,,,,,,,,,